Description
“যে কোনো মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজেই আমরা কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও অনেকে পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার করেন। রান্নার কাজে ব্যবহার করলেও আমরা কিসমিস সাধারণভাবে খাই না। অনেকে তো ভাবেন এমনি কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই কথাটা আসলে সত্যি নয়। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজা বলা হয়। সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস। এটি খেলে শরীরের রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পিত্ত ও বায়ুর সমস্যা দূর হয়। এটি হৃদপিণ্ডের জন্যও উপকারি।
আসুন জেনে নেই কিসমিস আমাদের স্বাস্থের কি কি উপকার সাধন করে:
১। হজমে সাহায্য করে: কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হ’তে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
২। রক্তশূন্যতা দূর করে: রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে; এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
৩। জ্বর নিরাময় করে: কিশমিশ রয়েছে প্রচুর পরিমানে ব্যাকটেরিয়ারোধী, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফলে এটা ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য কারে।
৪। ক্যান্সার: খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিশমিশ ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে। কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে।
৫। এসিডিটি কমায়: রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি (বিষ উপাদান) থাকলে, তাকে বলা হয়, এসিডোসিস। এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিশমিশ রক্তের এসিডিটি কমায়।
৬। চোখের যত্নে: আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়? কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ, এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
৭। দাঁতের ও হারের সুরক্ষা: কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাড় মযবুত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিসমিসে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
৮। দেহে শক্তি সরবরাহকারী: দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার। কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী।
৯। অনিদ্রা: কিশমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা মানুষের অনিদ্রার চিকিত্সায় বিশেষ উপকারী।
১০। উচ্চরক্তচাপ ও কোলেস্ট্রোরেল কমায়: কিশমিশ শুধুমাত্র রক্তের মধ্যে থাকা বিষোপাদান কমায় তাই না, বরং উচ্চরক্তচাপও কমায়। কিশমিশে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকেহ্রাস করতে সাহায্য করে। কিশমিশের দ্রবণীয় আশ, লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে।
১১। ইনফেকশন হতে বাধা প্রদান করে: কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরি উপাদান যা কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে।
Reviews
There are no reviews yet.